লন্ডন-সিলেট ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের সরাসরি ফ্লাইট চান প্রবাসীরা
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইট লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেটে চান প্রবাসীরা। এর জন্য ব্রিটেনের অনলাইন ভিত্তিক ৩৮ ডিগ্রিতে প্রায় ছয় হাজারের মতো প্রবাসীরা একটি পিটিশনে ইমেইল করেছেন। তাদের দাবী ব্রিটেনে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের অধিকাংশই সিলেটি। এই বিপুল সংখ্যক প্রবাসীদের জন্য সরাসরি লন্ডন টু সিলেট ফ্লাইট হলে সুবিধার হয়। একমাত্র বাংলাদেশ বিমানই সিলেট লন্ডনে যাত্রীসেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু বিমানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানারকম অভিযোগ।
ব্রিটেনের ওল্ডহামের বাসিন্দা সিলেটের নিয়াজ আলী সুরমা নিউজ ডটনেটকে বলেন, বিমানের সার্ভিস তেমন ভালো নয়। শুধুমাত্র সরাসরি সিলেটে যাওয়ার জন্য হাজার পাউন্ড টিকেট খরছ করেও আমরা বিমানে যাই। বছরের পর তাদের সেবার মান বৃদ্ধি পায়নি। উপরোন্ত দ্বিগুন ভাড়ায় যেতে হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ যদি সিলেটে যায় তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হয়।
জানা যায়, প্রায় ১১ বছর আগে লোকসান পড়ে লন্ডন- ঢাকা রুটে ফ্লাইট বন্ধ করেছিল বিশ্বের অন্যতম নামকরা এয়ারলাইনস ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ। এয়ারলাইনটি চেনা এই রুটে আবার ফ্লাইট পরিচালনা করতে চাচ্ছে। এ নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) কাছে আবেদন করেছে বিমান সংস্থাটি। আবেদনটি বর্তমানে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।
রবিবার (২২ নভেম্বর) বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মহিবুল হক গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
মো. মহিবুল হক গণমাধ্যমকে বলেন, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ ঢাকা-লন্ডন- ঢাকা রুটে ফ্লাইট চালানোর জন্য আবেদন করেছে। আগামী ২৯ নভেম্বর সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।
৩৪ বছর নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনার পর ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ লোকশানের কারণে ২০০৯ সালের ২৯ মার্চ ঢাকা-লন্ডন-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা বন্ধ করে দেয়।
২০০৯ সালে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ বন্ধের পর এমিরেটস, কাতার এয়ারওয়েজ ও টার্কিস এয়ারলাইন্স বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা সম্প্রসারণ করে। বাংলাদেশি যাত্রীদের তারা দুবাই, দোহা ও ইস্তাম্বুল হয়ে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিমান পুনরায় চালুর মাধম্যে বাংলাদেশি যাত্রীরা উপকৃত হবেন। বর্তমানে একমাত্র বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ঢাকা-লন্ডন রুটে সরাসরি যাত্রী পরিবহন করে থাকে।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের কার্যক্রম পুনরায় চালুর মাধ্যমে দেশের বিনিয়োগে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে, একইসঙ্গে দেশের প্রধান বিমানবন্দরটির সুরক্ষা সম্পর্কে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার আশঙ্কা দূর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রঃ সুরমানিউজ২৪.নেট