শ্রীমঙ্গলে আটকের পর ঘরে থাকার শপথে ছাড়া পেলেন ১২ জন!
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধিঃ
কঠোর লকডাউনে অপ্রয়োজনে বাইরে ঘোরাঘুরির অপরাধে শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে ১২ জনকে আটক করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পরে শহরের চৌমুহনা এলাকায় এনে শপথবাক্য পাঠ করিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া দিনব্যাপী উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আটটি মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নেছার উদ্দিন। এ সময় উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অকারণে বাইরে ঘোরাফেরা করায় ১২ জনকে আটক করা হয়।
সন্ধ্যার দিকে তাঁদের চৌমুহনা–সংলগ্ন এলাকায় দাঁড় করিয়ে শপথবাক্য পাঠ করান নজরুল ইসলাম। এ সময় আটক ব্যক্তিরা আর কখনো অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বের হবেন না, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন ও অন্যকেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করবেন বলে শপথ করেন।
এদিকে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ মেনে নিত্যপ্রয়োজনীয় ও জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ছাড়া অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ ছিল। সারা দিনই শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা টহল দিয়েছেন। যন্ত্রচালিত যানবাহনের চলাচলও ছিল খুব কম।
দুপুরের পর থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে নিয়ে উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা শুরু করে। লকডাউন অমান্য করে সিএনজি–অটোরিকশা চালানো এবং দোকান খোলা রাখায় দোকানদার ও চালকদের নামে মামলা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় আটটি মামলায় দুই হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নজরুল ইসলাম বলেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলার মানুষ সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ মেনে চলছেন। তবে এর মধ্যে কিছু লোক সেটা অমান্য করছেন। আমরা তাদের জরিমানার আওতায় এনেছি। এখন থেকে যারাই বিধিনিষেধ অমান্য করবেন, তাদের জেল–জরিমানার আওতায় নিয়ে আসা হবে। অপ্রয়োজনে বের হলেই আটক করা হবে।