সাম্প্রদায়িক বৈষম্য থাকলে সংখ্যালঘুরা চাকরিতে ৩০% পদ পেত না
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
দেশে কোনো সাম্প্রদায়িক বৈষম্য নেই—এমন মন্তব্য করে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, যদি থাকত তাহলে প্রশাসন থেকে শুরু করে সরকারি সব স্তরের চাকরিতে ৩০ শতাংশ পদে সংখ্যালঘুরা নিয়োগের সুযোগ পেতেন না।
আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম আয়োজিত ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় নূর হোসাইন কাসেমী এ কথা বলেন।
কাসেমী বলেন, সংখ্যালঘুরা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের সঙ্গে সমান সুযোগ পেয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে চাকরি পেয়েছেন। যদি কোটা থাকত, তাহলে তাঁরা এত সুযোগ পেতেন না। অথচ দেশের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে একটি চিহ্নিত মহল গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।
আলোচনায় নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, সব সময়ই ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য কায়েমি সরকার ধর্মকে ব্যবহার করে থাকে। তারা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা লাগিয়ে ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করতে চায়। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে যে পাঁয়তারা শুরু হয়েছে, তাতে সরকারের পরোক্ষ মদদ রয়েছে। সরকার সংখ্যালঘুদের অধিকার সংরক্ষণে ব্যর্থ হয়েছে।
অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া বলেন, ধর্ম যাঁরা বিশ্বাস করেন, তাঁরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করতে পারেন না। সব ধর্মাবলম্বী নিজ নিজ ধর্ম মেনে চললে সংঘাত হতেই পারে না।
সভাপতির বক্তব্যে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী বলেন, যেখানে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির পাঁয়তারা হবে, সেখানেই তা প্রতিহত করতে হবে। কোথাও যাতে কোনো অশুভ শক্তি আমাদের শত বছরের সম্প্রীতিকে নষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপারে সর্বদা সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
গোলটেবিল আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের, মুসলিম লীগের মহাসচিব কাজী আবুল খায়ের, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান হামিদী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের মহাসচিব মোস্তফা তারিকুল হাসান, জমিয়তের সহসভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব মঞ্জরুল ইসলাম প্রমুখ।