সিলেট কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের ত্রুটি নিয়ে মুখ খুললেন আরিফ
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগেই ফাটল দেখা দিয়েছে ৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সিলেটে নবনির্মিত আধুনিক বাস টার্মিনাল ভবনে। গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন আসার পর সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছিল তদন্ত প্রতিবেদন।
সেই প্রতিবেদনে ফাটলের জন্য নকশা তৈরিতে ভুলকে দায়ী করা হয়েছে। নকশা সংশোধনের জন্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা, পরীক্ষা ও পরামর্শ কেন্দ্রকে (সিআরটিসি) দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
বুধবার (১৭ মে) নগরভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের মুল নকশা তৈরিতে সংশ্লিষ্ট ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের কনসালটেন্ট, এমজিএসপি’র প্রকৌশলী এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের প্রতিনিধিরা। টার্মিনাল ভবনটির কাজ শেষ হওয়ার পর সেটি পরীক্ষামূলক ব্যবহার শুরু করে সিটি করপোরেশন। এরই মধ্যে ওয়েটিং রুমের বাইরের দেয়ালে ফাটল দেখা দেয়। এ সংক্রান্ত সংবাদ গণমাধ্যমে দেখে ৬ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিতে ছিলেন, শাবিপ্রবি’র সিইই বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জহির বিন আলম, সিলেট এলইজিডি’র তত্তাবধায়ক প্রকৌশলী এবং সিলেট শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগ, সওজ, গণপূর্ত অধিদপ্তর ও সিসিকের নির্বাহী প্রকৌশলী।
তাদের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভবনের গ্রেড বিম থেকে যে কন্টিলিভার বিম বের হয়েছে সেখানে সঠিক নকশা অনুপস্থিত। এরকম স্থাপনায় দেয়াল নির্মাণের নকশা প্রণয়নে আরও সতর্কতা অবলম্ব করা উচিত ছিল। তদন্ত কমিটি দেয়াল সংস্কার ও সঠিক নকশা তৈরির জন্য শাবিপ্রবির সিআরটিসি’কে দায়িত্ব দেওয়ার সুপারিশ করেন।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর ইতোমধ্যে সিআরটিসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার যে নকশা ও সুপারিশ দেবেন সেটি বুয়েটে পাঠানো হবে।
প্রসঙ্গত, বিমানবন্দরের আদলে দেশের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন বাস টার্মিনাল নির্মিত হয়েছে সিলেটে। এতে বিমানবন্দরের আদলে বাসের জন্য আলাদা প্রবেশ ও বহির্গমন পথ রাখা হয়েছে। যাত্রীদের জন্য রাখা হয়েছে দেড় হাজার আসন বিশিষ্ট ওয়েটিং লাউঞ্জ। রাখা হয়েছে গ্রিণ জোন। মেয়র জানান, আরও কয়েকদিন ব্যবহারের পর যদি বোঝা যায় সবকিছু ঠিক আছে তবেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ভবনটি বুঝে নেওয়া হবে। পরে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে।
সুত্র: সংগৃহিত