সিলেটে কালাম হত্যায় তিন আসামির যাবজ্জীবন
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্ক:
সিলেট নগরীর আলোচিত বাইসাইকেল মেকানিক্স আবুল কালাম হত্যা মামলায় তিন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শাহাদৎ হোসেন প্রামাণিক এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে কারাদন্ডের পাশাপাশি তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত।
রায়ে দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বইয়েরা গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে ও বর্তমানে সিলেটের কানিশাইলের বাবুল মিয়ার কলোনির বাসিন্দা ঝাড়ু মিয়া, দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি এলাকার সবুজ মিয়ার ছেলে জাকির ও মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলার পাঁচপীর গ্রামের আতর মিয়ার ছেলে লাল মিয়া ওরফে লালু। দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের তিনজনই পলাতক রয়েছেন।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জয়নাল আবদীন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বরাত দিয়ে আদালত সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ২৮ নভেম্বর রাত ৮টার দিকে সিলেট নগরীর বন্দরবাজারে বাইসাইকেল মেরামতকারী আবুল কালাম (৪০) দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হন। তিনি নগরীর গাজীটুলা এলাকার দুলু মিয়ার কলোনির বাসিন্দা।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী সুমনা খাতুন বেদনা বাদী হয়ে পরদিন ২৯ নভেম্বর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা (১২৪(১১)২৩) দায়ের করেন।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৯ মে কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ সাইদ উদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট নম্বর-৩৩৬) দাখিল করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি একই মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র (চার্জশিট নম্বর-১২৪) দাখিল করেন কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রোকনুজ্জামান।
মামলাটি বিচারের জন্য ২০১৩ সালে এ আদালতে স্থানান্তরিত হলে দায়রা-১৮৫৪/১৩ মূলে বিচারকার্য শুরু হয়। এরপর ২০০৮ সালের ১৪ আগস্ট এ মামলার চার্জ গঠনের পর সাক্ষীর ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার এ রায় ঘোষণা করা হয়।
মামলায় বাদি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন আদালতের পিপি সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল ও আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত আইনজীবী ঝর্ণা বেগম।