সিলেটের জিন্দাবাজার হবে লন্ডন সিটির মতো: মেয়র আরিফ হক চৌধুরী
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, জিন্দাবাজার হবে লন্ডন সিটির মতো। কারণ সিলেট প্রবাসী অধ্যুষিত এলাকা। আমরা নতুন বছরে নতুন আঙ্গিকে নগরকে দেখতে চাই। আমি সকলের কাছে দোয়াপ্রার্থী। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব ডিপার্টমেন্ট একসাথে কাজ করছি। সাময়িক কষ্টের জন্য নগরবাসীর কাছে আমি আন্তরিক দুঃখিত। ২০২১ সালের ১ জানুয়ারী সিলেট শহরকে অন্যরকম দেখা যাবে।
ফুটপাতের হকার সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন, সিলেট চেম্বার, ব্যাবসায়ী সংগঠন, সাংবাদিক ও পুলিশ প্রশাসনসহ আমরা সবাই একযোগে কাজ করছি। পুলিশ কমিশনারও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। আমরা সকলের সমন্বয়ে একটি সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করব।
নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজার এলাকায় মাকড়শাঁর জালের মতো ঝুলে থাকা ডিস ও ইন্টারেনট ক্যাবল অপসারণের কাজ শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর উপস্থিতিতে শুক্রবার ভোর থেকে শুরু হয় ডিস ও ইন্টারনেটের ক্যাবল অপসারণের কাজ। পাশাপাশি চলছে রাস্তার দু ধারের বৈদ্যুতিক খুঁটি অপসারণ এবং রাস্তা প্রশস্তকরণের কাজও। সবমিলিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড নিয়ে দারুণ আশাবাদী মেয়র। তবে, এই চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে নগরবাসীর, এমন ভাষ্য অনেকে
সরেজমিনে দেখা গেছে, জিন্দাবাজার এলাকায় পুরোদমে চলছে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল নির্মাণের কাজ। রোববার ভোরেবেলায় শুরু হয় কর্মযজ্ঞ। সিসিকের মেয়র এবং কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে শুরু হয় তার ও খুঁটি অপসারেণর কাজ।
জিন্দাবাজার পয়েন্টকে চতুর্দিকে প্রায় বিশ ফুট প্রশস্ত করা হয়েছে। জিন্দাবাজার পয়েন্ট থেকে পূর্ব দিকে বারুতখানা অভিমুখী সড়ক, পশ্চিমে জল্লারপার, উত্তরে চৌহাট্টা এবং দক্ষিণে বন্দরবাজার সড়কের দু-ধারের বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে ডিশ ও ইন্টারনেট ক্যাবল ও ফেস্টুন-ব্যানার কেটে নামিয়ে ফেলা হয়েছে। রাস্তার পাশের বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলোও সরানো হচ্ছে। তবে বিদ্যুত সংযোগ চালু রাখার জন্য বিকল্প হিসেবে বন্দরবাজার থেকে চৌহাট্টা পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তার মাঝামাঝি খুঁটি বসানো হয়েছে। আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল সিস্টেম চালু হওয়ার পর ওই খুঁটিগুলোও সরিয়ে নেওয়া হবে জানা গেছে। উন্নয়ন কর্মকান্ডে নগরবাসীর রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। অনেকেই মেয়রকে সাধুবাদ জানাচ্ছেন। কিন্তু এই কর্মকাÐের ফলে সৃষ্ট দীর্ঘ যানজট এবং ধুলোবালিতে নাকাল হচ্ছেন নগরবাসী। তবুও, নগর উন্নয়নের স্বার্থে সবই মেনে নিচ্ছেন তারা।