সুনামগঞ্জ সদরের ৯ ইউনিয়নেই নৌকার পরাজয়
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের একটিতেও জিততে পারে নি আওয়ামী লীগ। নৌকা মনোনীত প্রার্থীদের ভরাডুবিতে লজ্জায় পড়ে ক্ষমতাসীন দলটি। নির্বাচনে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা।
এর আগে রোববার (২৮ নভেম্বর) সকাল ৮ টা থেকে বিরতিহীনভাবে একযোগে ৪ পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ।
প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণ শ্রী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী আব্দুল ওয়াদুদ আনারস প্রতিক নিয়ে ২ হাজার ৯শত ৩৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী আব্দুল মান্নান লাঙ্গল প্রতীকে পেয়েছেন ২ হাজার ২ শত ১৪ ভোট। এছাড়া তরুণ স্বতন্ত্র প্রার্থী মোশাহিদ আলম মহিম তালুকদার পেয়েছেন ২ হাজার ২২ ভোট।
মোল্লাপাড়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র (বিএনপি) প্রার্থী নূরুল হক মটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে ৩ হাজার ৪শ ২৮ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সালাম ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১ শ ৩৩ ভোট।
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির পার্থী রশিদ আহম্মেদ লাঙ্গল প্রতিক নিয়ে ৫ হাজার ৮শত ৩১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদির আনারস প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ৬ শত ৯৪ ভোট।
মোহনপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মইন উল হক মটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে ৩ হাজার ১ শত ৭২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আ.লীগ প্রার্থী শীতেশ তালুকদার মঞ্জু নৌকা প্রতীকে ৩ হাজার ৩০ ভোট পেয়ে পরাজিত হয়েছেন।
গৌরারং ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী শওকত আলী ৬হাজার ৯শত ৩২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) শহীদুল ইসলাম অটোরিকশা প্রতিকে ৪ হাজার ৮ শত ৬৭ ভোট পেয়েছেন।
কুরবান নগর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল বরকত মটর সাইকেল প্রতিকে ৩ হাজার ৫২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ প্রার্থী মো. শামস্ উদ্দিন নৌকা প্রতিকে ২ হাজার ৯শত ২১ ভোট পেয়েছেন।
সুরমা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আমির হোসেন রেজা ৫ হাজার ১শত ৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৪ হাজার ১শ ১০ ভোট।
রঙ্গারচর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী (বিএনপি) আব্দুল হাই মটর সাইকেল প্রতিক নিয়ে ৪ হাজার ৬শত ৩৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. ফয়জুর রহমান লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ৪ হাজার ২ শত ২ভোট পেয়েছেন।
কাঠরই ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে জমিয়তুল উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী শামসুল ইসলাম খেজুর গাছ প্রতিক নিয়ে ১ হাজার ৭ শত ৯২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থী ফারুক মিয়া লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৭ শত ৩৯ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনী ফলাফল নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা উত্তম কুমার রায়।