হেফাজতের কর্মসূচিতে পুলিশের মোনাজাতের দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল
বিয়ানীবাজারের ডাকঃ
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কাঁপালো হেফাজতে ইসলামের ফ্রান্সের দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি। বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে ডাকা এই বিক্ষোভ সমাবেশে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল নামে। কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মতিঝিল-পল্টন এলাকা। মুহুর্তের মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়ে সমাবেশের বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও।
এছাড়া সমাবেশ শেষে মুসল্লিদের সাথে পুলিশের মোনাজাত ধরার দৃশ্য ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। নজিরবিহীন এই দৃশ্যের প্রশংসায় মেতে ওঠেন নেটিজেনরা।
ভাইরাল ভিডিওগুলোতে দেখা যায়, স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে পুরো পল্টন এলাকা। সোমবার সকাল থেকেই জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম এলাকায় জড়ো হতে থাকেন মুসল্লিরা।
বিশিষ্ট সাংবাদিক, কলামিস্ট ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘শেষ কবে বাংলাদেশ এত বৃহৎ জনসমাবেশ হতে দেখেছেন? এমনকি বিএনপি-আওয়ামী লীগের মত বড় রাজনৈতিক দলেরও এমন সমাবেশ শেষ কবে দেখেছেন? ও হ্যাঁ, এটা কিন্তু বিরানির প্যাকেট বা শেরাটনের খাবারের লোভে আসা সমাবেশ নয়, খাই খরচ, রাহা খরচ, কামলা খরচ দিয়ে আনা লোকের সমাবেশ নয়; রসুলের প্রেমে, রসুলের(সা.) অসম্মানের প্রতিবাদে নিজের জান, মাল ও শ্রম খরচ করে আসা লোকের সমাবেশ। এত লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ, অথচ কি শান্তিপূর্ণভাবে সমাপ্ত হল!! এটাই ইসলাম, এটাই বাংলাদেশ, রসূল (সা.) প্রেমী মানুষের বাংলাদেশ, এটাই বাংলাদেশের ইসলাম। যারা বোঝে না, বুঝতে চায় না, সেটা তাদের সীমাবদ্ধতা। কিন্তু বাংলাদেশে থেমে থাকবে না!’’
নয়ন মুরাদ লিখেছেন, ‘‘প্রতিটি মুসলিম হৃদয়ে নবীপ্রেম জাগ্রত। হাতেগোনা কতিপয় লোকের বিদ্বেষে নবী প্রেমিকদের কিচ্ছু যায় আসে না। (বি. দ্র. কারা কোন ব্যানারে প্রতিবাদ করছে, সেটা বড় বিষয় নয়। যে যার অবস্থান থেকে প্রতিবাদ করছে এটাই বড় বিষয়।)’’
আল-আমিন ফয়ছল লিখেছেন, ‘‘নবীজি (সাঃ) এর সমর্থনে ডাক দিলে, শুধু বাংলাদেশেই ১ কোটি মানুষ হাজির হবে। এদের কোন বিরিয়ানি, ইয়াবা, টাকা দেওয়া লাগবেনা। বরং নিজের পকেটের টাকা খরচ করে মানুষ আসবে। মুহাম্মদ সা. নামে ১৫০০ বছর আগে মৃত্যুবরণকারী এই নেতার ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটস অ্যাপে কোন অ্যাকাউন্ট নাই, নাই কোন রাজনৈতিক দল। তবু তাঁর রয়েছে ১৫০ কোটি নিবেদিত ফলোয়ার।’’
আব্দুল কাদের গালিব লিখেছেন, ‘‘মুসলমান মুসলমানের ভাই। দায়িত্বটা কোন নির্দিষ্ট গোত্রের নয় বরং সর্বশ্রেনীর মুসলমানদের। যারা নবী প্রেমিকদের এই গণজোয়াড়ে মিডিয়া-প্রশাসনসহ সকল শ্রেনী-পেশার মানুষ যে যেভাবে সহযোগীতা করছেন আল্লাহপাক তাদেরকেও কবুল করুন। যারা অসযোগীতা, মিথ্যা তথ্য কিংবা বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছেন, তাদেরকে হেদায়েত দিন। এই আন্দোলন কোন রাষ্ট্র ক্ষমতা বা ভিন্ন উদ্দেশ্যে নয়। শুধু আর শুধু প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ্ এর ইজ্জত-সম্মান রক্ষার্থে। তাঁর ভালবাসায় ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। আল্লাহপাক কবুল করুন। আমিন।’’
আবুল হাসানাত কাসিম লিখেছেন, ‘‘জনগণ ও প্রশাসনের সম্মিলিত, শান্তি ও সম্প্রীতিপূর্ণ আজকের সমাবেশ ছিল স্মরণকালের সবচেয়ে সুন্দর আর পরিপাটি। পুলিশ ভাইদেরকে দেখেছি- আল্লাহু আকবারের শ্লোগানে আমাদের সাথে যোগ দিতে।