৩শ’ টাকার তরমুজ ৬শ’ টাকা : স্বপ্নসহ ৫ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
প্রচন্ড গরমে সিলেটবাসী যখন স্বস্থি খুঁজছে দেশীয় ফল তরমুজে ঠিক তখনি কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বিভিন্ন কারসাজির মাধ্যমে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের মাধ্যমে করছে অবৈধ মুনাফা। বিষয়টি নিয়ে ভোক্তা ও সচেতনমহলের পক্ষ থেকে আনা একের পর এক অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার (২৮ এপ্রিল) সিলেটের ফলের দোকানসমূহে এক যৌথ অভিযান পরিচালনা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও র্যাব–৯।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদের নেতৃত্বে পরিচালিত এ অভিযানে ফল বিক্রিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন – ২০০৯ লংঘনের অপরাধে সুনামধন্য চেইনশপ সপ্নসহ মোট ৫ টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করে অধিদপ্তর।
এসময় দেখা যায়, উপশহর এলাকায় অবস্থিত স্বপ্নের একটি আউটলেটে প্রতিকেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকা ধরে যেখানে একটি বড় তরমুজের মূল্য দাড়ায় ৬০০ টাকা। অথচ প্র্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক সরবরাহকৃত ক্রয় রশিদ যাচাই করে দেখা যায়, কেজি হিসেবে নয় বরং প্রতিষ্ঠানটি আড়ৎ থেকে তরমুজটি ক্রয় করেছে প্রতি পিস ধরে যেখানে ওই ৬০০ টাকা মূল্যের তরমুজটির ক্রয়মূল্য হয় সর্বোচ্চ ৩০০ টাকা।
একটি তরমুজে প্রায় ৩০০ টাকা মুনাফা করা এবং পিস দরে কিনে কেজিদরে বিক্রি করাকে ভোক্তাদের সাথে প্রতারনা হিসেবে গণ্য করে অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করে এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার কঠোর নির্দেশনা প্রদান করে। একই দিনে নগরীরর প্রধান ফলের আড়ৎ কদমতলি ফল বাজারেও অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় মূল্য তালিকা না থাকা, অতিরিক্ত দামে তরমুজ বিক্রি করা, তরমুজের ক্রয় মূল্য ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকা এবং ক্রয় রশিদ সরবরাহ না করতে পারার অপরাধে বিনা ফলের আড়ৎকে ২ হাজার টাকা, মোজাম্মেল ফলের আড়ৎকে ৪ হাজার টাকা, সুলতান এন্টারপ্রাইজকে ৪ হাজার টাকা এবং মের্সাস মা ফল ভান্ডারকে আরো ৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এসময় ফল বিক্রিতে কোন ধরণের কারসাজি, মজুদদারী, কিংবা কারচুপি না করার জন্য সকল ব্যবসায়ীদেরকে সতর্ক করে দেয়া হয়। অভিযানে আরো উপস্থিত ছিলেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শ্যামল পুরকায়স্থ। জনস্বার্থে এ ধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে।