৬৫ বছর বয়সে আইনজীবী পাত্রীকে বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী সুজন
বিয়ানীবাজারের ডাক ডেস্কঃ
দিনাজপুরের বিরামপুরের মেয়েকে বিয়ে করলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন। গত ৫ জুন শনিবার ইসলামী শরিয়াহ ও সরকারি আইন মেনে ঢাকায় হেয়ার রোডে মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে অ্যাডভোকেট শাম্মী আকতার মনি (৪২) এর সঙ্গে তার বিয়ে সম্পন্ন হয়।
শাম্মী আকতার মনির বড় ভাই মো. জাহিদুল ইসলাম মিলন বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমার বোন শাম্মী ঢাকার উত্তরায় থাকে। সে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করে হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করছে।
আইনি বিষয়ে পরমার্শ নিতে কিছুদিন আগে রেলমন্ত্রীর কাছে যায় আমার বোন। পরে আমার বোনকে মন্ত্রীর পছন্দ হয়। পারিবারিকভাবে ৫ জুন তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বিয়েতে বরপক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিরামপুরের বিচারপতি ইজারুল হক ও তার স্ত্রী।
কনে পক্ষে আমি ও আমার ভাই উপস্থিত ছিলাম।
প্রসঙ্গত, নূরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী নিলুফার জাহান ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মারা যান। তাদের এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। তিন সন্তানেরই বিয়ে হয়েছে।
৬৫ বছর বয়সী নূরুল ইসলাম ১৯৫৬ সালের ৫ জানুয়ারি পঞ্চগড়ে জন্মগ্রহণ করেন।
পঞ্চগড়-২ (বোদা-দেবীগঞ্জ) আসন থেকে নবম, দশম এবং একাদশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৮ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর হন রেলমন্ত্রী।
নূরুল ইসলাম সুজন পেশায় সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলারও একজন আইনজীবী ছিলেন।
জানা গেছে, শাম্মী আকতার মনি বিরামপুরে নতুন বাজার এলাকার মৃত আব্দুর রহিমের মেয়ে। তারা দুই ভাই এক বোন। দুই ভাই বিরামপুরের বাসায় থাকেন। বড় ভাই মিলন হোসেন ইলেকট্রিক ব্যবসায়ী। অপরজন স্থানীয় ব্যবসায়ী।
শাম্মী আকতার মনির এর আগে কুষ্টিয়ায় বিয়ে হয়েছিল। পারিবারিক সমস্যার কারণে ২০১১ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। ওই ঘরে একটি মেয়ে রয়েছে। এরপর থেকে মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় থাকে তার বোন।